সরকার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। পর্যটন ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে ট্যুর অপারেটর নিবন্ধন করাতে হবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে। সুন্দর উদ্যোগ, পর্যটনকে অফিসিয়ালি স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু আকষ্মিক এই স্বীকৃতির বিপরীতে আর্থিক একটা বিশাল লিস্ট ধরিয়ে দিয়েছে যা নিম্নরূপঃ-
* নিজের কোম্পানির নামে ব্যাংক একাউন্টে ১০ লাখ টাকার স্টেটমেন্ট/সলভেন্সি দেখাতে হবে।
* ৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ট্রেজারী করতে হবে যা সরকারের ফান্ডেই জমা থাকবে।
* নিবন্ধন ফি ৫০০০০ টাকা
* আবেদন এর ফি ৫০০০ টাকা
* উত্তোলন এর ফি ১০০০ টাকা
* প্রসেস এবং টেবিলের ডান-বাম খরচ এখনো জানা নেই, যেহেতু ব্যাপার টা নতুন।
সকল কিছু মিলিয়ে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার একটা আয়োজন।
যার হাতে কাড়ি কাড়ি পয়সা আছে, তার কাছে এগুলো কোন ব্যাপার ই না। তারা এই গ্যাজেট এর পক্ষেই থাকবেন, কারণ এতে কম্পিটিশন কমে যাবে মার্কেট থেকে, অনেক কোম্পানিই টিকে থাকার লড়াইয়ে হেরে বিদায় নিবেন।
কিন্তু যারা এই সেক্টরে নতুনভাবে কাজ করছে, যারা তরুণ উদ্যোক্তা, আবার কিছু ক্ষেত্রে পুরোনো অনেক কোম্পানিও সমূলে ঝড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই যে ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে, যার দু’চারটা ট্যুর করে কোনভাবে তার ঘর চলে সে কই পাবে এতো টাকা? আর তার মতন লোককে কে-ইবা এতো বড় অংক ধার দিবেন? তারপর আরো প্রায় ৪ লাখ টাকা একেবারেই দিতে হবে। এই ধাপ পেরিয়ে টিকে থাকা অনেকের জন্যেই মুশকিল।
সরকার যেখানে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার কথা, সেখানে এই অমানবিক চাপে ফেলার যৌক্তিকতা কি আমার জানা নেই।
আর এই সকল নিয়ম কানুন যারা করেছেন বা পর্যটন সংশ্লিষ্ট যেসকল সংগঠন বা ব্যাক্তিবর্গের সাথে আলাপচারিতার পর নিশ্চিত করেছেন সকলের অবস্থান বা উদ্দেশ্য স্পষ্ট।
“তরণদের ছেটে ফেলার পায়তারা”!
আপ্নারা তো পর্যটন এর সকল কিছুতেই বিদেশের সাথে তুলনা করেন।
এইখানে করবেন না??
এমন পর্যটন উদ্যোক্তা ধ্বংসের আয়োজন এর ঘোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি বিষয়টি পূনঃবিবেচনা করে উদ্যোক্তাদের বাঁচানোর জন্য। অন্যথায় দেশে উদ্যোক্তা তৈরী হবে না, তৈরী হবে চোর কিংবা চাটুকার!