লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় রফিকুল ইসলামকে বিরোধপূর্ণ জমিতে কোন কিছু না করার জন্য নির্দেশ দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসহ উচাখিলা গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে কাজী মাহবুবুল আলমের মালিকানা জমিতে থাকা দোকানপাট ভাংচুর করে। এতে মাহাবুব আলম বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করলে অস্ত্রধারীরা তার উপর চড়াও হয়। এসময় আত্মরক্ষার্থে তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে উপস্থিত লোকজনের সামনেই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, কাজী মাহবুবুল আলম ১৯৯৪ সালে রিয়াজ উদ্দিনের নিকট থেকে রেজিঃকৃত এওয়াজ বদল দলীলমূলে জমির মালিক হন। তখন থেকেই তিনি জমিটি ভোগদখল করে আসছেন। দীর্ঘ ২৭ বছর পরে তিনি জানতে পারেন তার এওয়াজ বদলকৃত দলীলটিতে সাবেক দাগ নাম্বারে ভুল লিপিবদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় রিয়াজ উদ্দিন জীবিত না থাকায় তার ওয়ারিশান ৯ জনকে বিবাদী করে ২০২০ সালে দাগ সংশোধনের জন্য তিনি ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে একই গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে রফিকুল ইসলাম ২০২০ সালে রিয়াজ উদ্দিনের ৯ জন ওয়ারিসানদের মধ্য থেকে ৫ জনের কাছ থেকে একই জমিটি অবৈধ্যভাবে কিনে নিয়ে এই মামলায় পক্ষভূক্ত বিবাদী হন। পরে ২০২৩ সালের ৩১ আগষ্ট মামলার আরজিতে তথ্য অস্পষ্ট থাকার কারণ উল্লেখ করে ঈশ্বরগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের জজ এ.এস.এম আনিসুল ইসলাম প্রতিপক্ষ বিবাদী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দোতরফা সুত্রে, ১ ও ৮ নং বিবাদীর বিরুদ্ধে আপোষ সুত্রে ও অন্যান্য বিবাদীদের বিরুদ্ধে একতরফা সুত্রে মামলাটি খারিজ করেদেন। পরে ভূক্তভোগী মাহবুব গত ১৩ মে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ জেলা জজ বাহাদুর আদালতে আপীল করেন।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ রফিকুল ইসলাম জানান, আদালত আমাকে ডিগ্রি দিয়েছে, তাই আমি আমার জমি থেকে দোকান সড়ানোর কথা বলেছি।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।