আফজাল হোসেন বলেন, ব্যাংক পরিদর্শনে গিয়ে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে অভিযোগ দিলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাখা ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম, ক্যাশ অফিসার সুব্রত চক্রবর্তী ও সিনিয়র অফিসার আবু জাফরকে শুক্রবার তাদের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অগ্রণী ব্যাংক প্রধান কার্যালয় থেকে একটি অডিট টিম পুরো বিষয়টি তদন্ত করছে। কমিটির প্রধান হলেন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়ার হোসেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মধ্যরাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদেরকে শুক্রবার বিকেলে পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। বিচারক আনোয়ার হোসেন সাগর গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, অগ্রণী ব্যাংকের রাজশাহী বিভাগীয় অফিস থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিদর্শন টিম নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর শাখা পরিদর্শনে যান। সেখানে টাকার হিসাব গ্রহণকালে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা খোয়া যাওয়ার অনিয়ম ধরা পড়ে।