উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ৯ সি ব্লকে বসবাস করেন ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গ্রুপদের পরিচালক এই রোহিঙ্গা ফরিদ।
২০২১ সাল থেকে ক্রসফায়ারে নিহত হওয়া নূর মোহাম্মদের পার্টনার ফরিদ তার চোরা চালান ব্যবসাকে আড়াল করতে ফার্মেসি ব্যবসাকে কৌশল হিসেবে নিয়েছেন। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় ২০২১-২০২২সালে ও উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ফরিদ ডাক্তার বেপরোয়া শিরোনামে নিউজ প্রকাশিত হলে ফরিদ কিছুদিন গা ডাকা দিয়েছিল। বর্তমানে ফরিদ আবার ও নিজেকে নতুন করে ফার্মেসি ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করার চেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।ফরিদ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন মাদক ডিলার টেকনাফের হ্নীলার ক্রস ফায়ারে নিহত হওয়া নুর মোহাম্মদের হাত ধরে ২০০৫ সালের দিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করার পরবর্তীতে মাদক কারবারি ফরিদের আর পিছন ফিরে তাকাইতে হয়নি। ফরিদ একজন কৌশলী মাদক ডিলার হিসেবে রোহিঙ্গাদের কাছে বেশ সুপরিচিত।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওষুধের দোকান নিষিদ্ধ হলেও ফরিদ খুলেছেন পাইকারি ঔষুধের দোকান দেখার কেউ নেই। ফরিদ ছাড়া অন্য কোন সামান্য কয়েক হাজার টাকার দোকান নিয়ে বসলে ও ক্যাম্প ইনচার্জ তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন কিন্তু ফরিদের লাখ লাখ টাকার অবৈধ ওষুধের দোকানের দিকে ফিরেও তাকান না।সাংবাদিকরা ক্যাম্প ইনচার্জকে বিষয়টি বারবার অবগত করার পরও কোন ব্যবস্থা নেন না।এ দ্বারা সুস্পষ্ট প্রমাণ হয় যে ফরিদের হাত অনেক উপরে।রোহিঙ্গা ফরিদ কোটি টাকার বৈধ সম্পদ কিভাবে অর্জন করল বিষয়টি গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে বেরিয়ে আসবেন তার অপরাধের আসল রহস্য।
এই বিষয় নিয়ে উখিয়া ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ সরোয়ার আলম জানান,রোহিঙ্গা হয়ে কেউ ফার্মেসী বা দোকান করার কোন অনুমতি নেই,হয়তো তারা চুখ ফাকি দিয়ে এসব ব্যবসা করে যাচ্ছে, যদিও এই বিষয় কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি আর যদি যায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।