ময়মনসিংহের ভালুকার হবিরবাড়ি জামিরদিয়া এলাকায় জালিয়াতি, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যুতার প্রধান তালিকায় ও গণমাধ্যমে বারবার শিরোনামে যার নাম আসছে তিনি হলেন- জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা কামাল।
আওয়ামী সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে মোস্তফা কামাল এর অত্যাচার, জুলুম নির্যাতন এর শিকার হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলো এলাকার সাধারন মানুষ।
সাধারণ মানুষের বাড়িঘর ও জমি-জমা দখল করে নেয়া তখন যেন তার নেশায় পরিণত হয়েগেছিলো।
তার খপ্পরে পড়ে অনেক নিরীহ মানুষ ইতিমধ্যেই তাদের বসতভিটাসহ অন্যান্য জমিজমা হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। আবার অনেকেই নিঃস্ব হওয়ার পথে।
সে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ৫ আগস্ট এর পূর্বে তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার ওপর নেমে আসে কাল বৈশাখী ঝড়।
সরকার পতনের কিছুদিন আগে হবিরবাড়ি জামিরদিয়া ৪নং ওয়ার্ডের মোঃ হেলাল (৪৫), মোঃ হেকিম (৫৫), আলাল ফকির (৫০) সহ আরো অনেককেই গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটান তিনি। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কারো নাম পর্যন্তও কেউ মুখে নেওয়ার সাহস পেতোনা। থানায় অভিযোগ করলেও কেহো কোন আইনি সহায়তা পেতেন না।
আওয়ামী লীগ নেতা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তফা কামাল ও তার সহোদর ভাই তোফাজ্জল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর এর নেতৃত্বে মোঃ সুজন, সাগর, খাইরুল, খোকন সহ স্থানীয় আরো অনেক আওয়ামী লীগ এর ৪০-৫০জন সন্ত্রাসী মাঠ পর্যায়ে সকল ধরনের সন্ত্রাসী, জোরপুর্বক জমি দখল ও নির্যাতন এ ব্যস্ত ছিলো। জমিজমা নিয়ে প্রতিটা ঘটনায় যোগসূত্র ছিলো এল স্কয়ার কোম্পানি।