মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীদের ভোগান্তি বেড়েছে। এখানে গত দু-তিন মাসে একে একে ৬জন চিকিৎসক অন্যত্র বদলী হওয়ায় ওই সংকট আরো প্রকট হয়েছে। গত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ১শ শয্যা নিয়ে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু হয়। চিকিৎসক সংকটের কারণে আউটডোরে রোগীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, আউটডোরে রোগীদের তীব্র চাপ। আউটডোরের ১নং ও ৫নং কক্ষে ডাঃ মারুফ-উল-আলম ও ডাঃ সঞ্জিব দত্ত চপল দায়িত্ব পালন করেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত আউটডোরে ওই দুই চিকিৎসক ৩শতাধিক রোগী দেখেন। এসময় টিকিটের জন্য আরো প্রায় শতাধিক রোগী লাইনে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় আলাপকালে আউটডোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মারুফ-উল-আলম বলেন, একজন চিকিৎসকের পক্ষে এত রোগী দেখা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তিনি বলেন, রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। ডাঃ অলক কান্তি তালুকদার জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমর্কতার প্রতিনিধি হিসেবে আমি উপজেলা হল রুমে মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করি এবং গত রাতে আমার জরুরী বিভাগে রাত্রীকালীন ডিউটি ছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত দু-তিন মাসের মধ্যে এখান থেকে ডাঃ সাবিহা সিফাত নারায়নগঞ্জ সোনারগাঁও, ডাঃ আকলিমা জাহান খান মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর, ডাঃ শাহরিয়ার জাহান ওসমানী নেত্রকোণা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডাঃ আরিফা জান্নাত শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিট, ডাঃ ফয়জুল আলম পিজি হাসপাতাল এবং ডাঃ এবিএম বাকী বিল্লাহ্ জুনায়েদ খালিয়াজুরীতে বদলী হয়ে চলে গেছেন। বর্তমানে এখানে ৭জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন। মোহনগঞ্জ ১শ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই অপ্রতুল চিকিৎসকের কারণে রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ানোর প্রয়োজন বলে ভুক্তভোগী রোগীরা জানান। মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেহেনা পারভীন গত দু-তিন মাসে ৬জন চিকিৎসক বদলী হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সারা বাংলাদেশেই চিকিৎসক সংকট। চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।