বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নে আখরাইল গ্রামে পরিত্যক্ত মাটির ঘরের দেয়াল ধ্বসে পাশের বাড়ীর এক অসহায় বৃদ্ধার ঘরের ওপর দুমড়েমুচড়ে পড়েছে। এতে তার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোমবার (১০ই জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের আখরাইল উত্তরপাড়া গ্রামের মফিজুর রহমান মফিজের স্ত্রী বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম (৬০)। সে অন্যের কাজ করে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এ জমিতে কোন মতে বাড়ী করে এক পুত্র সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। এ বাড়ীর পাশেই মৃত মিছির উদ্দিন প্রামানিকের পুত্র রফিকুল ইসলামের ৩ কক্ষ বিশিষ্ঠ মাটির দেয়ালের বাড়ী ছিল। গত ৫ মাস পূর্বে প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম তার মাটির বাড়ীর টিনের চালা খুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু ঘরের মাটির দেয়াল গুলো না ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবেই সেখানে দৃশ্যমান রাখেন। বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম গ্রামের অনেক ব্যক্তিকেই বলেন, রফিকুলের এ ঝুঁকিপূর্ণ দেয়াল গুলো ভেঙে সারানোর জন্য। ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা থেকে প্রতিবেশীরা সেটি ভেঙে ফেলার জন্য বারবার রফিকুলকে অনুরোধও করেছেন। কিন্তু রফিকুল ঘরটি ভাঙবেন–ভাঙবেন বলেও ভাঙেননি। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঘরটি দুর্বল হয়ে পড়ে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬ টার দিকে আকষ্মিক ভাবে রফিকুলের মৃত্যুর ফাঁদ বনে থাকা দেয়াল ধ্বসে পড়ে পাশের বৃদ্ধা মনোয়ার বেগমের ঘরের ওপর। এতে সে অলৌকিক ভাবে বেঁচে গেলেও তার বাড়ীর ইটের তৈরী সীমানা প্রাচীর ও টিনের ঘরটি দুমড়েমুচড়ে পড়ে। এতে ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাব ক্ষতিগ্রস্ত সহ ঘরটি বেশিরভাগ ফাটল ধরে ঝুকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। যেকোন মুহূর্তে ঘরটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী বৃদ্ধা মনোয়ারা বলেন, “হাট বাজার থেকে পরিত্যক্ত সবজি নিয়ে এসে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি” “আমি গরীব তাই আমার পাশে কেউ নেই”। মেম্বার-চেয়ারম্যান কে বললেও তারা আজ বসবে কাল বসবে বলে কয়েন দিন অতিবাহিত হলো। এ বিষয়ে অসহায় বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।