কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউনিসেফের অর্থায়নে ওয়াশ ফিট প্রকল্পে ডিএসকের (দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র) উদাসীনতায় ব্যাপক দুর্নীতি চলছে ।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ সুত্রে জানাযায়, ৩০লক্ষ টাকা ব্যয়ে কুড়িগ্রামের তিনটি উপজেলার মধ্যে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও ওয়াশ ফিট (পয়ঃনিষ্কাশন,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।
এ বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র ডিএসকের মাঠ পর্যায়ের নিষ্কৃয়তায় স্ব-ঘোষিত ঠিকাদার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রকল্পের অর্থ হরিলুট চলছে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় , দরপত্র ছাড়াই গোপনে পছন্দের ঠিকাদার নিয়োগ, মনগড়া ব্যক্তিদের নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি গঠন, নিম্ন মানের উপকরণ দিয়ে রাতের আঁধারে তড়িঘড়ি করে প্রকল্পের কাজ সম্পন্নকরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
এসব বিষয়ে ইউনিসেফ বাংলাদেশের মিডিয়া স্পেশালিষ্ট ফারিয়া সেলিম ও মিডিয়া উইং অফিসার ফারজানা সুলতানার নিকট জানতে চাইলে তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্প তদারকি করার মতো ইউনিসেফের অতো জনবল নেই। ওয়াশ ফিট প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ডিএসকের কাজে অবহেলার অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডিএসকের এম এ রব পাটোয়ারী অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। তিনি জানান, এটা সরকারি কাজ আপনারা সরকারকেই জিজ্ঞাসা করেন।
অন্যদিকে প্রতিবেদক রাতের আঁধারে চলা প্রকল্পের কাজ দেখতে চাইলে প্রকল্প সহকারী প্রকৌশলী নাবিদ ফয়সাল জানান, কাজ এখনো শুরু হয়নি, কাজ শুরু হলেও সরকারের অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের কাজ দেখা নিষেধ। সিভিল সার্জন ডাক্তার মঞ্জুর এ মুর্শেদ বলেন, ইউনিসেফের প্রকল্পটি বাস্তবায়নের বিষয়ে আমাকে তেমন কিছুই জানানো হয় নাই। দুয়েক বার মিটিং করেছে এই যা।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর অভিযোগ করে বলেন, আমার সিল ও স্বাক্ষর জাল করে ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। কাজ কবে কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে এসব বিষয়ে আমার জানা নাই এবং হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ারও আমার নেই। অন্যদিকে ঠিকাদার পরিচয় দেয়া স্বঘোষিত ছাত্র সমাজের এক বহিস্কৃত নেতা সংসদ সদ্যসের নাম ভাঙ্গিয়ে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউনিসেফের কাজটা আমি করছি, এমপি সাহেবও বিষয়টি জানেন। কাজের অসংগতির বিষয়ে আপনারা লিখিয়েন না, প্লিজ।
এছাড়াও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ডাক্তার সাহেব আলী ও সদস্য ডাক্তার ফতেখার উল ইসলাম এ বিষয়ে প্রতিবেদককে জানান, কমিটিতে আমাদের নাম ও স্বাক্ষর থাকলেও আমরা এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।