কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ফাতেমা নামের ৪ বছরের এক শিশুকে হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ পেঁচিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় শিশুটির পিতা একটি অভিযোগ দায়ের করছে। গতকাল ২৮ মে (মঙ্গলবার) ভেড়ামারা থানার মোকাররমপুর ইউনিয়নের ক্ষেমিড়দিয়ার গ্রামে এই ধর্ষণের নির্মম ঘটনা ঘটে। গতকাল (মঙ্গলবার) শিশুটি তার বাড়ির সামনে বন্ধুদের সাথে খেলছিল।তার বাড়ির পাশেই রেজাউলের বাড়িতে টিভিতে উচ্চস্বরে গান বাজছিল। সরজমিনে ও স্থানীয় লোকজনদের সূত্রে জানা যায়। কৌতুহলবশত শিশুটি সেখানে গেলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা একই এলাকার রেজাউল(৪২) ও খোকন(৩৭) তাকে আটকে দেয়। তার হাত-পা বেঁধে মুখে টেপ পেঁচিয়ে উচ্চ সুরে গান দিয়ে দুজনেই তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটিকে ভয় দেখানো হয় যেন এই ঘটনা কাউকে না বলে। পরবর্তীতে পাশের বাড়ির এক মহিলার সহযোগিতায় শিশুটির আত্মীয়স্বজন তাকে উদ্ধার করে। সন্ধ্যার পর তার বাবা এসে ঘটনা শুনে রাত সাড়ে ৯ টার সময় তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে তাকে রেফার্ড করা হয়। শিশুটির পিতা বলেন, কাজকাম সেরে বাড়িতে এসে মেয়েকে কোলে নেই। কোলে নেয়ার সাথে সাথে মেয়েটি আমার হাউমাউ করে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকে বাবা আমার তলপেটে ব্যথা করছে, পাশের বাড়ির রেজাউল ও খোকন আমার হাত-পা বেঁধে, মুখে টেপ পেঁচিয়ে আমাকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করেছে। আমি ভাই একজন হকার মানুষ, আমার কারো সাথে শত্রুতা নাই,যারা আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে আমি তাদের বিচার চাই। ” ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, “ধর্ষণের আলামত চিহ্নিত হয়েছে।উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।” ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) লুৎফর রহমান ধর্ষণের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন” আমরা ধর্ষকের রুম থেকে কালো টেপ ও হাত বাধার ওড়না উদ্ধার করেছি। প্রধান অভিযুক্ত রেজাকে গ্রেফতার করেছি। তার বয়ানেও এর সত্যতা পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে ভেড়ামারা থানার ।