শেরপুর জেলার সদর থানায় বাদী মমতাজ বেগম (৫২) ও মোঃ দেলোয়ার হোসেন (মিন্টু) (৬২) দ্বয়ের দায়েরকৃত এজাহার পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বাদীর এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের সাথে আসামীদের এলাকার ছাত্র ও লোকজনের বিরোধ চলে আসতেছে। এরই সূত্র ধরে ঘটনার তারিখ গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখ রাত অনুমান ১০.৪০ ঘটিকায় মাইকে ঘোষনা দিয়ে এজাহারনামীয় আসামীগণসহ অজ্ঞাতনামা আসামীগণ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শেরপুর সদর থানাধীন দারুস সালাম মাদ্রাসার পশ্চিম পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর বাদীর ছেলে আশরাফুল আলম মিজান (৩৫)‘কে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম আশরাফুল আলম মিজান (৩৫)‘কে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক এতই তারিখ রাত্রী অনুমান ১১.৪০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন। এ মৃত্যুর ঘটনায় নিহতের মা মোছাঃ মমতাজ বেগম (৫২) বাদী হয়ে শেরপুর জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫, তারিখঃ ১২/০৯/২০২৪ খ্রিঃ, ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০। একই ঘটনায় আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (২৮) মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন (মিন্টু) বাদী হয়ে শেরপুর জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৪, তারিখঃ ১২/০৯/২০২৪ খ্রিঃ, ধারাঃ ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড ১৮৬০। ঘটনার পর র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা কার্যক্রম গ্রহণ করে।
২। এরই প্রেক্ষিতে, র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ‘র একটি আভিযানিক দল ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিঃ তারিখ ভোর অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামালপুর সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরিফুল ইসলাম শ্রাবণ (২৮) ও আশরাফুল আলম মিজান (৩৫) জোড়া হত্যা মামলার ১নং এজাহারনামীয় আসামী এমদাদ মাস্টার (৫৮), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, সাং-গৌরীপুর, থানা-শেরপুর সদর, জেলা-শেরপুর‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।