উদার হস্তে কালো টাকার পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রথম বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। প্রথমবারের মতো কোম্পানিও পাবে তাঁর উদারতার সুযোগ। জমি, ফ্ল্যাট, নগদ টাকা, ব্যাংক সঞ্চয়, সিকিউরিটিজ সবই বৈধ করা যাবে। যা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
দেশে কালো টাকার পরিমাণ কত, এর সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের হিসাবে, জিডিপির তিন ভাগের এক ভাগই কালো। স্বাধীনতার পর থেকে অর্থনীতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগোচ্ছে কালো টাকা।
কালো টাকা দুই ধরনের। অনেকেই বৈধপথে আয় করলেও আয়কর নথিতে দেখান না। কেউ কেউ একে অপ্রদর্শিত আয় বলেন। আর কিছু মানুষ আয় করেন অবৈধ উপায়ে। যেমন ঘুষ, দুর্নীতি, লুট ইত্যাদি নানা উপায়ে। প্রথম ধরন নিয়ে সমাজে তেমন আপত্তি না থাকলেও অবৈধ আয় নিয়ে সমাজে আছে বিস্তর আপত্তি। আইনের চোখেও তা গুরুতর অপরাধ।
কালো টাকা প্রসঙ্গে একেক দেশের অবস্থান একেক রকম। তবে বেশিরভাগ দেশ এর বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেয়। আতংকে থাকেন অবৈধ সম্পদশালীরা। কিন্তু বাংলাদেশে বারবার সাধারণ ক্ষমা দেওয়া হয়। এবার অবৈধ সম্পদধারী কোম্পানিকেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
কর্মকর্তারা জানান, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে নগদ টাকা, ব্যাংক সঞ্চয়, সিকিউরিটিজ সবই বৈধ করা যাবে। জমি ও ফ্ল্যাটও বৈধ করা যাবে। এক্ষেত্রে দিতে হবে নির্ধারিত কর। কর্মকর্তারা জানান, ফ্ল্যাটের কর নির্ধারণের জন্য ঢাকাকে পাঁচটি অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। বর্গফুট প্রতি সর্বনিম্ন কর তিন হাজার টাকা। ঢাকার বাইরের অঞ্চলগুলোকেও কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে কর নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্যিক স্থাপনার ফ্ল্যাট বৈধ করতে দ্বিগুন কর দিতে হবে। ভূমির ক্ষেত্রেও দাম বিবেচনায় কর নির্ধারণ করেছে এনবিআর।