বাদী একজন সহজ, সরল ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি বটে। পক্ষান্তরে, আসামীগণ অত্যন্ত উসশৃঙ্খল সন্ডাগুন্ডা, ধনবান ও আইনের প্রতি অশ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি।
আসামীরা আমাকে নিরীহ পাইয়া দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন ভাবে অন্যায় অত্যাচার করিয়া আসিতেছে। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে আমার ছেলে ইমনকে ১টি মোটর সাইকেল কিনে দেই। উক্ত মোটর সাইকেল ১নং আসামী আকিরুল বিক্রি করে দেয়। উক্ত বিষয়ে ১নং আসামীর নিকট আমি জানতে চাইলে, ১নং আসামী আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে। পরবর্তীতে বিগত ১৪/১২/২৪ ইং তারিখ আনুমানিক বিকাল ৩ ঘটিকায় ২নং আসামী নুরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বাদীকে কল দিয়া খিচা বাজারে বাদী ২নং আসামীর কল পাইয়া খিচা বাজারে যাইতে বলে।
খিচা বাজারে পৌছা মাত্র উল্লেখিত বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাদীকে ঘিরে ফেলে এবং ১নং আসামী বাদীকে বলে আমাদের ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা দিবে, তাহলে আর কোন দিন তোমাদের কোন ক্ষতি করিব না আমরা। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় সকল আসামীদের হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার মোটর সাইকেলটি এলোপাথারীভাবে বাইরাইয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকার ক্ষতি সাধন করে। ঐ দিনই বিবাদীরা আমার একটি ছাগল ছিল তা আমাকে না জানিয়ে বিক্রি করে দেয়, যাহার আনুমানিক মূল্য হতে পারে ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা।
ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৫/১২/২০২৪ ইং তারিখ রোজ রবিবার আনুমানিক দুপুর ১ ঘটিকার সময় বাদী, বাদীর স্ত্রী এবং ৪নং স্বাক্ষী আবুল হাসেম বাদীর বসত বাড়ীর পিছনে বসে সাংসারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়া আলাপ আলোচনা করিতে ছিল। হঠাৎ সকল আসামী গণ হাতে রামদা নিয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বেআইনী ভাবে অনধিকার প্রবেশ করিয়া হামলা করে। ২নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো রামদা দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপ মারে, আমি উক্ত কুপ হাত দিয়া ফিরাইলে আমার বাম হাতের শাহাদাত আঙ্গুলের সাথের আঙ্গুলে লাগিয়া কেটে মাটিতে পড়িয়া যায় এবং বাদীর মধ্যের আঙ্গুলও কাটে।
কেটে শুধুমাত্র চামড়ার মধ্যে ঝুলিয়া থাকে এবং বাম পায়ের হাটুর নিচেও কুপ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। তখন বাদী এবং বাদীর স্ত্রীর চিৎকারে তাহার ছেলে ইমন ঘর থেকে বেরিয়ে আসা মাত্রই ১নং আসামীর হাতে থাকা ধরালো রাম দা দিয়া ২নং স্বাক্ষী ইমনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপ মারে।
তখন ইমন সরে যায় এবং উক্ত কুপ ২নং স্বাক্ষী ইমনের পিঠের ডান সাইডে লাগিয়া গুরুতর হাড়াকাটা জখম হয় এবং উক্ত কুপ পিঠ বেদ করিয়া বুকের ডান পাশের ছাডুনিতেও লেগে হাড় কেটে ঝুলে যায় তখন ২নং স্বাক্ষী মাটিতে পড়ে যায়।
তখনও ১নং আসামী আকিরুল ২নং সাক্ষী ইমনকে এলোপাথারী ভাবে কোপাইতে থাকে, সেই কুপ গলার বাম পাশে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয় এবং ডান হাতের কুনুইয়ের নিচেও কুপ মারিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে এবং ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলের উপরেও কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
এরপরেও ১নং আসামী ক্ষান্ত হননি ২নং স্বাক্ষীর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যে মাথার দুপাশে হাতুরী দিয়া বারি মারে, যা থেতলে যায়। ১নং স্বাক্ষী পারভীন যখন আমার ছেলেক বাচাঁও বাঁচাও বলে চিৎকার করিতে
থাকে তখন ৩নং আসামী সাগর এর হাতে থাকা রামদা দিয়া তাহার সৎ মাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুপ মারে তিনি মাতা সড়াইয়া নিলে দা এর আগা তাহার কপালের উপরের বাম পাশে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
এবং ৩নং আসামী ১নং সাক্ষী তাহার সৎ মাকে রামদার আচারী দিয়া মেরুদন্ডে বারি মারিলে কোমরের উপরে আংশিক ফাটিয়া যায়। বাদী এবং ১নং সাক্ষীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে সকল আসামীগণ ঘটনা স্থল ত্যাগ করিয়া চলিয়া যায় এবং যাওয়ার সময় ১নং আসামী হুমকী দেয় যে, এ বিষয় নিয়া কোন মামলা মোকদ্দমা করিলে তোর ছেলের মত তোদেরকেও মেরে লাশ গুম করিয়া ফেলিব।
অতপর ৬নং সাক্ষী ৭নং সাক্ষীর সি.এন.জি দিয়া বাদী, ১নং স্বাক্ষী এবং ২নং সাক্ষীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করান। যার প্রেক্ষিতে একটি মামলা করা হয় ,মামলার নং1028/24