লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সেপটিক ট্যাংকে নেমে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে রায়পুর পৌর শহরের ফারুকীয়া মাদ্রাসার সামনে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সেপটিক ট্যাংকে নেমে নিহত হন তাঁরা। নিহত দুজন ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নিহত দুই যুবকের নাম কাদের হোসেন (২১) ও রবিন হোসেন (২৮)। আহত হয়েছেন সাকিব হোসেন (২৩)। ট্যাংকে নামার পর মৃত সন্দেহে উদ্ধার কাজে নামে রায়পুর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট। তাদের উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করে।
কাদেরের ছোটো ভাই টুটুল বলছে, ‘কাদের আমার বড় ভাই, তিনি নিহত হয়েছেন। সোহেল কন্ট্রাক্টর আমার ভাইকে নামিয়েছে। ঝুঁকি জেনেও তাদেরকে নামানো হয়েছে।’
জানা যায়, কাদেরের বাবার নাম খোরশেদ আলম। আর রবিনের বাবা জাকির হোসেন পেশায় রিকশাচালক। রবিনের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে মারা গেছে। আমার বলার ভাষা নেই। আমি মামলায় যাবো না।’
সোহেল কন্ট্রাক্টরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে সোহেল পলাতক। তাঁর মোবাইলে ফোন দেওয়া হলে বন্ধ পাওয়া যায়। লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মান্নান জানায়, খবর পেয়ে দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসক মাহির হোসেন বলেন, ওই দুই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে মরদেহ নিয়ে গেছেন। অন্য একজনকে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামসুল আরেফিন বলেন, দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অরুপ পাল বলেন, গুরুতর অসুস্থ একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থাও আশংকাজনক।