বর্তমান সরকার বিএনপির ইফতার মাহফিলকেও ভয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে বিএনপির ইফতার মাহফিলে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রশাসনের বাঁধায় বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে ইফতার করতে বাধ্য হয়েছে। সরকার এখন বিএনপির ইফতার মাহফিলকেও ভয় পায়। কারণ ইফতার মাহফিলে নেতাকর্মীদের মিলন মেলার পাশাপাশি জনগণের উপস্থিতি বিশাল জনসভায় পরিণত হচ্ছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের পাশের সড়কে অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গ্রেপ্তার হয়ে করাবরণ করা ৯৯ জন নেতাকর্মীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপির র্শীষ নেতারা। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়ে যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ বৃথা যাবে না। দেশের জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছিল। কিন্তু ভরাডুবির ভয়ে আওয়ামী লীগ জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে ৭ জানুয়ারী সাজানো ও পাতানো নির্বাচন করেছে। ওটা নির্বাচন ছিল না, দেশের জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
পরে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রিন্স আরও বলেন, সরকার জনগণের সাথে মশকরা করছে। সরকার দলীয় নেতাদের বাজার সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিদিন দ্রব্যমূল্য বেড়ে চলেছে। ফলে দ্রব্যমূল্যে দিশেহারা জনগণের মাঝে ঈদের আমেজ নেই। আওয়ামী লীগ জনগনের ব্যালটে নির্বাচিত সরকার নয় বলেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, বিএনপির আন্দোলন চলছে এবং গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। সরকারের জুলুম অত্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাঠ ছেড়ে যায়নি। আমরা রাজপথে আছি, এই স্বৈরাচার সরকার বিদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ইফতার পূর্ব এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম। এ সময় সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদ হোসেন শাকিল, ছাত্রদলের সভাপতি নাইমুল করিম লুইন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জি.এস মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
এ সময় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল হক, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এম. এ হান্নান খান, একেএম মাহাবুবুল আলম, এনামুল হক আকন্দ লিটন, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, মহানগর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক তানভরি আহমেদ রবিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের র্শীষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।