শিশুটিকে মামার জিম্মায় দিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৩ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে ২০২৪) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন জায়েদা ও তার শিশুসন্তান জাহিদ হাসান। পরে তাদের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেন স্থানীয়রা। সেখান থেকে ওইদিন রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জায়েদা খাতুনের মৃত্যু হয়। শিশু জাহিদকে ওই হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
মায়ের মৃত্যুর পর শিশুটির কান্নার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। শনিবার (১১ মে) রাতে জায়েদার পরিচয় নিশ্চিত করেন তার স্বজনরা। পরের দিন বোনের মরদেহ ও ভাগনেকে নিতে আসেন রবিন মিয়া। তবে, শিশু জাহিদ হাসানের চিকিৎসা শেষ না হওয়ায় শুধু জায়েদার মরদেহ তার ভাই রবিন মিয়ার কাছে হস্তান্তর করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
নিহত জায়েদা খাতুন সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার কুসিউড়া গ্রামের রমিজ উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি আইডিয়াল মোড় এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মাইন উদ্দিন দৈনিক হেমন্ত কালকে বলেন, শুনেছি আদালত ছেলের মামার কাছে হস্তান্তরের নির্দেশনা দিয়েছেন। তবে, আমরা লিখিত কোনো কাগজ পাইনি। সুস্থ না পর্যন্ত শিশু জাহিদ হাসানের চিকিৎসা এ হাসপাতালেই চলবে।