ঈশ্বরগঞ্জের মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম মিয়াকে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার কিডনি নেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সেলিম উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাচাশী গ্রামের দিনমজুর হাসিম উদ্দিনের ছেলে। পাঁচ মাস আগে তিনি বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন।
সম্প্রতি সেলিমের স্বজনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেলিমের ছবি চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে দেখতে পান। মঙ্গলবার সেলিমের মা রাবিয়া, চাচাতো ভাই গ্রাম পুলিশ আব্দুর রশিদ সেলিমের সন্ধানে ঢাকা চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে গিয়ে তাকে শনাক্ত করেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেলিম শিকল বন্দি অবস্থায় একটি নির্জন কুঁড়েঘরে শুয়ে আছেন। কথা হয় সেলিমের মা রাবিয়া, বাবা হাসিম উদ্দিন, চাচাতো ভাই আব্দুর রশিদ, মামাতো ভাই দিলুর সঙ্গে।
মা-বাবা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলতে থাকেন- আমার ছেলের কিডনি নিয়ে গেছে ওই আশ্রয়দাতারা। সেলিমের মা সন্তানের কাপড় উচিয়ে পেটে অস্ত্রোপাচারের ক্ষতচিহ্ন দেখান।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজেদুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।