মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ:
ময়মনসিংহের বেশির ভাগ আবাসিক হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে চলছে অবাধে জমজমাট দেহব্যবসা। এই সব দেহব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহবধূরা। অতিরিক্ত আয়ের লোভে, এমনকি গার্মেন্টস কর্মীরাও এ পেশায় জড়িয়ে পড়ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ময়মনসিংহ শহর এলাকায় ছোট বড় মিলে ২০টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন চার শতাধিক যৌন কর্মী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দেহব্যবসা করে। রাতের বেলায় অন্য গ্রুপ এসে পরের দিন সকাল পর্যন্ত দেহব্যবসা করে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যায়।
এদের অনেকের অভিভাবক, স্বামী কিংবা বাবা-মা কেউ জানেন না মেয়েদের এসব বিপথগামিতা। বিভিন্ন চাকুরি বা পেশার আড়ালে এসব করে বেড়াচ্ছে তারা। আবাসিক হোটেলে অনেকেই আবার ভুয়া স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রুম ভাড়া নিয়ে কয়েক ঘণ্টা অবস্থন করে চলে যায়। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও অন্যের স্ত্রী রয়েছে।
এসব আবাসিক হোটেলের মধ্যে রয়েছে হোটেল শরিফ হোটেল মালেক, হোটেল হাফিজিয়া, আরও বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রতিটি আবাসিক হোটেলে রয়েছে নানা বয়সের যৌন কর্মী। হোটেল মালিকরা ফ্রি স্টাইলে ১নং ফাড়ি পুলিশ-প্রশাসনকে ম্যানেজ করে নির্ভয়ে চালাচ্ছে এসব অসামাজিক কার্যকলাপ।
বিশেষ করে ময়মনসিংহ শহরের তাজমহল মোড়ে জেসি গুহ রোডের শরিফ আবাসিক হোটেল যেন মিনি পতিতালয়। এখানকার কমদামী হোটেলে হরদম চলছে দেহ ব্যবসা। বিভিন্ন ধরনের বর্ডাররা সাথে করে নারী নিয়ে আসে, নয়তো হোটেলের কর্মচারী বা ম্যানেজাররা জোগাড় করে দেয়।
অভিযোগ উঠেছে ১নং ফাঁড়ি পুলিশকে ম্যানেজ করেই আবাসিক হোটেলে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা। আবাসিক হোটেল গুলোতে প্রকাশ্যে দেহ ব্যবসার ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহ নগরীর জে,সি গুহ রোড তাজমহল এলাকায় হোটেল শরিফ আবাসিকে নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা নেই। হোটেলটিতে ২৪ ঘন্টায় সেখানে ব্যক্তিগত কোনো তথ্য ছাড়াই বুকিং দেয়া যায়। কস্টমারদের চাহিদা মত অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য বিভিন্ন বয়সের নারী সরবরাহ করে থাকেন হোটেলে কর্মরত স্টাফ রা ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ময়মনসিংহের ১নং পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশকে মাসোহারা টাকা দিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড।