র্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সন্ত্রাসবাদ, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ,চোরাচালান, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বেআইনি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র্যাব-১৪ তাঁর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধের লক্ষ্যে অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায়, ১৫/১০/২৪খ্রিঃ তারিখ র্যাব-১৪, সিপিএসসি এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানাধীন হালুয়াঘাট পৌরসভা এলাকায় বিপুল পরিমান অবৈধ ভারতীয় জিরা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয়েছে। উক্ত সংবাদ পাওয়ার পর অধিনায়ক, র্যাব-১৪ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সামসুজ্জামান এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল বিজিবির টহল টিমের সহযোগিতায় গত ইং ১৫/১০/২৪ খ্রি. তারিখ রাত অনুমান ২১.০০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানাধীন হালুয়াঘাট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আকনপাড়া সাকিনে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমান অবৈধ ভারতীয় জিরা উদ্ধার করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আসামী ১। ওয়াদুদ মাস্টার(৩৮),২। সিরাজুল (৩২), ৩। জাহাঙ্গীর (৫০) ও ৪। মোহাম্মদ আলী(৪২)সহ অজ্ঞাতনামা আসামীগন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ২১৫ (দুইশত পনের) বস্তায় মোট ৬৩৮৫ কেজি ভারতীয় জিরা উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ভারতীয় জিরার আনুমানিক মূল্য = ৩৫,১১,৭৫০ /- (পয়ত্রিশ লক্ষ এগার হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা।
এসময় উপস্থিত স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, পলাতক আসামীগন দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে ভারতীয় জিরা শুল্ক ফাকি দিয়ে চোরাই পথে বাংলাদেশে এনে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে মজুদ করছিল। চোরাইমাল উদ্ধার এবং চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।উক্ত বিষয়ে পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানায় মামলা দায়েরপূর্বক আলামত হস্তান্তর করা হয়েছে।