ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ যুব মহিলা লীগের নেত্রী স্বপ্না খন্দকারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের যে অসত্য অভিযোগ যুব মহিলা লীগের আরেক নেত্রী রানী ইসলাম (মনু) করেছেন, সেজন্য তদন্তপুর্বক তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবী তুলেছেন ময়মনসিংহের নারী সমাজ। স্বপ্নার উপর এমন অভিযোগ ঘোটা নারী সমাজকে কলঙ্কিত করা হয়ে বলেও মনে করেন তারা।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন নারী নেত্রী সুমা আক্তার ও রত্ম আক্তার।
তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পুরণে বর্তমান সফল প্রধান মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ময়মনসিংহে জেলা যুবমহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকারের নেতৃত্বে যুব মহিলা লীগ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে, আর সে কারণে ময়মনসিংহে বর্তমানে আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন গুলোর চেয়ে যুব মহিলা লীগ যখন মানুষের আস্থা অর্জন করছে সে মুহুর্তে ময়মনসিংহের নারী নেতৃত্বকে ব্যাহত করতে এবং যুব মহিলা লীগকে ধ্বাবিয়ে রাখতে একটি গভীর চক্রান্ত হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি ময়মনসিংহের মানুষ অনেক বেশি সচেতন, যারা ষড়যন্ত্র, চক্রান্তকে মোকাবেলা করতে ঐক্যবদ্ধ।
জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশণায় যুব মহিলা লীগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের লক্ষ্য,ময়মনসিংহের গরীব অসহায় নর-নারীদর শেষ আস্থা স্বপ্না খন্দকার।
রাণী ইসলামের অভিযোগ প্রসঙ্গে তার বলেন, রাণী ইসলামের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
রাণীর অভিযোগ ময়মনসিংহের শুভবোধসম্পন্ন ব্যক্তিদের আবেগ ও অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। ময়মনসিংহের সব মানুষ এই অপকর্মের বিরুদ্ধে ধিক্কার ও নিন্দা করছে।
এখন দেখার বিষয় রানী ইসলামকে শিখণ্ডি বানিয়ে কোনো দুষ্টচক্র যেন ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে না পারে। পাশাপাশি আমরা মনে করি, দেশের চলমান আইনের ধারায় তার বিচার হওয়া উচিত। তারা আরও বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অবশ্যই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। রাষ্টের উচিত দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার করা।
এব্যাপারে সদ্য বিলুপ্ত যুব মহিলালীগ কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে গিয়ে দেখা যায় তিনি একটি বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত। এসময় তার সাথে কথা হলে তিনি তার উপর রানী ইসলামের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করে বলেন-রাণী ইসলাম আমার পাশ্ববর্তী এক বাসায় ভাড়া থাকতো গত ২রা মার্চ /২৪ তারিখে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ইশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক রানী ইসলাম ওরফে রানী মালা (২৭) বাদী হয়ে আমিসহ ৫ জনকে বিবাদী করে মামলা করেন।
তিনি বলেন, গত ৬ মে সোমবার রানী মালা প্রেসক্লাবে যে সংবাদ সন্মেলন করে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও সঠিক তথ্যমূলক নয়। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেই সম্পর্কে আমি স্বপ্না খন্দকার কিছুই জানিনা। আপনারা (সাংবাদিকরা) অবশ্যই ভিডিওটি দেখেছেন। সেখানে রানী মালা নিজেই ছেলেটির উপরে উঠে আদর করছে এবং খুব হাসিখুশি ছিলো এবং অন্তরঙ্গ ভাবে একে অপরজনকে মুখে আঙ্গুর ফল তুলে খাইয়ে দিচ্ছেন। যে পুরুষের সয্যাসঙ্গী হয়েছে তাকে আসামী করা হয়নি। যারা প্রতিবাদ করেছে তাদের আসামি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন রানী ইসলাম একাধিক বাসাবাড়ীতে অনৈতিক কাজ করায় বিতারিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি ইমুতে কাজ করে মানুষকে ব্লাকমেইল করে থাকেন বলেও জানান। নিজের অপরাধ ঢাকতে আমার উপর দোষ চাপিয়ে সাইবার আদালতে মিথ্যা মামলা করে আমাদের হয়রানি করছে।
স্বপ্না আরও বলেন, রানী ইসলাম আমার দিগারকান্দা বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতো এবং সেখানে তার রঙ্গলীলা চলতো। ভাড়াটিয়ার এমন রঙ্গলীলার বিষয়ে এলাকাবাসী আমাকে অবগত করলে আমি তাকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেই । এরপর শুরু হয় তার বেপরোয়া জীবনের রঙ্গ তামাশা । যার শিকার হই আমি এবং আমার পরিবার ও সাধারন মানুষ এই মামলার আসামী হয়েছি। এই ভিডিও ভাইড়াল বিষয়ে আমার কোন যোগসুত্র নেই । সামাজিক এবং রাজনৈতিক ভাবে আমার ক্ষতিসাধান করতে এই মিথ্যা মামলায় আমাকে ফাঁসানো হয়েছে । তিনি রাণী ইসলামের বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসনেও একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।