সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের আকস্মিক ভারত সফর ও ঢাকা- দিল্লির নতুন গোলামী চুক্তি প্রসঙ্গে রাশেদ প্রধান বলেছেন, ভারতের মুদ্রানীতি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ কে শোষণ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই সরকার (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থাকলে ভবিষ্যতে টাকার পরিবর্তে ভারতীয় রুপিতে দেশ চালাবে।
তিনি আজ রবিবার (২৩ জুন-২৪) বেলা সাড়ে ১১ টায় পল্টনস্থ শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি -জাগপা আয়োজিত পলাশী দিবসের শিক্ষা ও আজকের বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি ভারতের সাথে গোলামী চুক্তি স্বাক্ষর করায় গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ভারত তাদের নিজেদের সুবিধার জন্য বাংলাদেশের সড়ক পথ এবং রেল পথ ব্যবহার করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা গবেষণার নামে বাংলাদেশের সমুদ্র সম্পদ লুট করার জন্য সমুদ্র চুক্তি করা হয়েছে। তথ্য হ্যাকিং ও অতিরিক্ত অর্থ আত্মসাধের জন্য বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা ভারত নিয়ন্ত্রণ করার ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের সাথে সুনীল অর্থনীতির নামে ভারত বাংলাদেশের স্থলবন্দর গুলো বিনা শুল্কে ব্যবহার করতে চায়।
রাশেদ প্রধান বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। বাংলার মেহনতি মানুষের ওপর পূর্ব পাকিস্তানের শোষণ -নিপীড়নের প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাখো শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। কিন্তু আজ সেই ভারতীয় শোষণ – নিপীড়ন আর কর্তৃত্ব নির্ভর হয়ে উঠছে বাংলাদেশ! কোথায় আজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ? সুতরাং সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশবাসী হুশিয়ার থাকবেন।
জাগপার দলীয় মুখপাত্র আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষুধার্ত কুকুরের মত খেয়ে ফেলা হচ্ছে। তাদের (আ’লীগের) পছন্দের আমলাদের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি এখন বিশ্ব রেকর্ড করতে চলেছে। এমপি – মন্ত্রীদের আত্মীয়রা এখন দেশের অর্ধেক সম্পদের মালিক। আর দেশের জনগণ অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাবে হাহাকার করছে।
রাশেদ প্রধান বলেন, ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার ৬৫ হাজার সৈন্য লর্ড ক্লাইভের ৩ হাজার সৈন্যর কাছে পরাজিত হয়েছিল মীরজাফর ও তার অনুসারীদের বেইমানীর কারনে। ২৩ জুনে জন্ম নেওয়া আওয়ামী লীগ আজ বাংলাদেশের সাথে বেইমানি করছে দেশের সম্পদ ভারতের হাতে তুলে দিয়ে।
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান এর সভাপতিত্বে ও যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, হাজী মোঃ হাসমত উল্লাহ, জাগপা ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপা নেতা সাহাবুউদ্দিন সাবু, জনি নন্দী প্রমূখ