নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের উজান বাড়েরা গ্রামের আবদুর রহমান (৬২) ও তার ভাতিজি শেফালি আক্তার (৪৫)। তারা বিয়ের কেনাকাটা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন
জানা যায়, জামালপুরগামী আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন ছাড়ার পর নিয়ম অনুযায়ী মিন্টু কলেজ রেলক্রসিং ও নতুন বাজার রেলক্রসিংয়ে প্রতিবন্ধক নামানো হয়েছিল। কিন্তু ট্রেনটি নগরীর পঁচা পুকুরপাড় এলাকার রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় অটোরিকশাটি লেভেল ক্রসিং থেকে ২০০ গজ দূরত্বে নতুন বাজার মাকরজানি রেলক্রসিং পর্যন্ত টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচরে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার দুই যাত্রীর খণ্ড-বিখণ্ড অংশ রেললাইনের দুপাশে পড়ে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ও জিআরপি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্রেনটি ধীর গতিতে চলছিল। রেলক্রসিংয়ের দুই পাশের প্রতিবন্ধকের মধ্যে এক পাশের প্রতিবন্ধক নামানো হয়েছিল। ওই সময় রিকশাচালক পার হতে চাইলে রিকশাটি ট্রেনের নিচে পড়ে।
নিহত আবদুর রহমানের ভাই হাবিবুর রহমান জানান, ভাগ্নের বিয়ের কেনাকাটা করতে শেফালিকে নিয়ে শহরে গিয়েছিলেন আবদুর রহমান। জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরলে রাতেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের আর বাড়ি ফেরা হয়নি।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজন পুরুষ ও একজন নারীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে। অটোরিকশায় কয়জন ছিল, সেটি জানা যায়নি। রেল চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।