দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির উত্তরাঞ্চলের একটি গ্রামে ভয়াবহ ভুমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৬৭০ জন মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এই ভূমিধস শুরু হয়।
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের প্রধান সারহান অ্যাকতোপ্রাক বলেন, রাজধানী পোর্ট মোরেসবি থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে এঙ্গা প্রদেশের কাওকালাম গ্রামে এই ভূমিধস হয়। এতে দেড় শতাধিক ঘর মাটির নিচে চাপা পড়ে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, গ্রামটির বেশি কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন অনেকে। সেসব ফুটেজে দেখা গেছে, চাপা পড়া মাটির নিচ থেকে কেউ কেউ গাছের শিকড় বেয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন।
পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যেখানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে, সেটি খুব দুর্গম একটি এলাকা। উদ্ধার তৎপরতা চলাতে আমরা ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী, পুলিশ ও সেনাদের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করেছি। এছাড়া মাটির স্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার, সৎকার ও ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কাওকালাম গ্রামের কাছেই পোরগেরা স্বর্ণ খনি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অপরিকল্পিতভাবে স্বর্ণখনি খোঁড়াখুঁড়িই এ ধসের ঘটনা ঘটেছে।