৫ ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ ই আগস্ট বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সামনে হিযবুত তাহ্রীরের অবস্থান।
নিজস্ব পতাকা ব্যানার লিফলেট এবং খেলাফতের স্লোগান সহকারে প্রকাশ্য হয় ২০০৯ সাল থেকে নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক সংগঠন । ছাত্র আন্দোলনে হিযবুত তাহ্রীরের কি পরিমান কর্মী মাঠে ছিল কতজন হতাহত হয়েছিল এবং বাংলাদেশের শীর্ষ নেতৃত্বে কে আছেন সেটি স্পষ্ট করেননি সংগঠকটি । আদর্শগতভাবে হিযবুত তাহ্রীরের লক্ষ বিশ্বজুড়ে ইসলামিক খেলাফতের প্রতিষ্ঠা করা । তারা গণতন্ত্র বিরোধী এবং তাদের কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক সংবিধান চাই।
আদর্শগত কারণে কয়েকটি আরব দেশ সহ জার্মানি, তুরস্ক, পাকিস্তানে হিযবুত তাহ্রীর নিষিদ্ধ। এছাড়া ২০২৪ সালে জানুয়ারিতে যুক্তরাজ্যও তাদের নিষিদ্ধ করা হয় । বাংলাদেশে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সরকার হিযবুত তাহ্রীরকে নিষিদ্ধ করেন। সংগঠন টিকে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং জন নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসাবে উল্লেখ করা হয় ।
আওয়ামী লীগ সরকার আমলের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সংগঠনটি তৎপর ছিল অনেকটাই গোপনে, সরকার পতনের পর প্রকাশ্য মিছিল ,সমাবেশ কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে তাদের। ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে শিরোনামে ঢাকায় বড় সর মিছিল করেছে সংগঠনটি। ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনটিকে প্রত্যাহারও জানিয়েছেন হিযবুত তাহ্রীর।
হিযবুত তাহ্রীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে ৫ ই সেপ্টেম্বর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি করে। অতীতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীরের ব্যাপারে সরকারের কঠোর অবস্থান ছিল ,অন্তর্বর্তী সরকারের সময় সেটি নেই বলেই অনেকে মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগে হিযবুত তাহ্রীরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদনের চিঠিটি এসেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাক্ষাৎকারে কোন মন্তব করেননি। এমনকি তাকে সংবাদ সম্মেলনের ব্রিফিং এ প্রশ্ন করা হলেও বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলে যান ।