বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আক্তার হামিদ খান পবন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে রাজধানীর মোতালিব প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সভাপতির পদ দখলে দলের নাম ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপির হাইকমান্ড বারবার দখল ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বেশ কয়েকজন দোকান মালিক অভিযোগ করেছেন।
ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ শাসনের পতনের পর ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর পবনের এই পদ দখলের তৎপরতা শুরু হয়।
তারা জানান, প্রতি দুই বছর অন্তর একটি কমিটি গঠনের জন্য দোকান মালিকদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ২০০৩ সালে বাজারটি চালু করার পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি। গুড লাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেড মার্কেটটি নির্মাণ করেছে।
ক্ষমতায় থাকা দলের লোকজন সবসময় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে থাকে বলে অভিযোগ।
দোকান মালিকরা জানান, ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে তারা আশা করেছিলেন এবার নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করা হবে।
তারা বলেন, নির্বাচন ছাড়াই ২০২২ সালের মে মাসে গঠিত বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এবং শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান।
আ.লীগের পতনের কয়েকদিনের মধ্যেই পবন ও বিএনপির কৃষক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি শাহ আলম নিজেকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দিতে শুরু করেন বলে জানিয়েছেন একাধিক দোকান মালিক।
পবন বাজার এলাকায় প্রায় ৩০-৩৫ জন বহিরাগতকে নিয়ে শোডাউন করে এবং হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল বলেও অভিযোগ।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী কমিটি গঠন করা হোক। দোকান মালিকরা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে চান বলে জানিয়েছেন সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান বাচ্চু।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির নাম ব্যবহার করে কমিটি দখলের জন্য কৃষকদল নেতা শাহ আলম পবনকে নিয়ে আসেন।
মার্কেটের চারটি দোকানের মালিক মাহবুবুর বলেন, ‘পবন ও শাহ আলম দোকান মালিকদের হুমকি দিচ্ছে।’
মোতালিব প্লাজায় ৬০০টির বেশি দোকান রয়েছে এবং বিএনপির সাবেক এই শীর্ষ নেতার ছেলে একটি দোকানের মালিক।
মার্কেটের ২৩টি দোকানের মালিক মোহাম্মদ সবুজ জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিগত বৈঠকে দোকান মালিকরা সমিতির নেতা নির্বাচনের জন্য চাপ দিলে পবন ও শাহ আলম চুপ ছিলেন।
শামীম মোল্লা বলেন, ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করেছে। আমরা তাদের চেতনা ধরে রাখি, আমরা আমাদের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচন চাই।
সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম তালুকদার যিনি বাজারে পাঁচটি দোকানের মালিক মাহবুবুর, সবুজ ও শামীমের প্রতিধ্বনি করেন।
খন্দকার আক্তার হামিদ খান পবন বলেন, মোতালিব প্লাজার আশপাশে দোকান মালিক সমিতির কোনো নির্বাচিত কমিটি নেই।
তিনি বলেন, সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মার্কেট থেকে পালিয়ে যাওয়ায় মোতালিব প্লাজা মার্কেটের এখন কোনো অভিভাবক নেই। ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে এক বছরের মধ্যে নির্বাচন করব।’
পবন জানান, তার ভাই খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু মার্কেট কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং মার্কেট উন্নয়নে তার পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি বহিরাগতদের সঙ্গে মার্কেট যাননি বা কাউকে হুমকিও দেননি।
রাতারাতি নির্বাচন করা যায় না। একটি উপযুক্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করতে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তার ব্যবস্থা করতে অনেক সময় প্রয়োজন,’ পবন দাবি করেছে।
মালিক সমিতির বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম দাবি করেন, অনেক দোকান মালিক তাদের সমর্থন করছেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, দলের নাম ব্যবহার করে কাউকে কোনো কমিটি দখল করতে দেবে না,
এর আগে তিনি বিএনপি চেয়ারয়ারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা করে সমালোচিত হয়েছেন,এছাড়া ও তিনি বিভিন্ন চাদাবাজী সহ গাড়ি চুরির মামলার আসামী, তিনি তার নিজ জেলা মানিকগঞ্জের সমালোচিত ব্যাক্তি হিসেবে পরিচিত যা পূর্বে অনেক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান খন্দকার পবণ ও শাহালম তার সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আমাদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে এবং সন্ত্রাসী কায়দায় মার্কেট দখলের চেষ্টা করছে, তাই আমরা ভয়ের মধ্যে দিন দিনাতিপাত করছি,এই ব্যাপারে প্রতিবেদককে আরো জানান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার মতো ঘটনা ঘটতে পারে, ব্যবসায়ীরা বর্তমানে আতংকিত আছেন।