ময়মনসিংহের নান্দাইলে কুকুরের সংঘবদ্ধ আক্রমণে ইজাজুল হক নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে উপজেলার দক্ষিণ চারিআনিপাড়া নদীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ইজাজুল উপজেলার শেরপুর গ্রামের মৃত ছমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি একটি কোম্পানির স্থানীয় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ইজাজুল অবিবাহিত ছিলেন। একটি বাসা ভাড়া নিয়ে একাই থাকতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো গত রাতেও ফজরের নামাজ আদায় করতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেম তিনি। কিন্তু মসজিদে যাওয়ার পথে কয়েকটি কুকুর তাকে সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ করে। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন অংশসহ নাড়িভুঁড়িও কুকুর খেয়ে ফেলে।
নান্দাইল হাসপাতালের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক শহীদুল্লাহ জানান, কুকুরের কামড়ে ঘটনাস্থলেই ইজাজুলের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কুকুর সবসময়ই ডাকাডাকি করে। তাই হয়তো ভোর রাতে কুকুরের ডাক শুনলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। সকালে প্রতিবেশী শরীফুল আলম লাশ দেখে চিনতে পেরে তাকে ডেকে তুলে বিষয়টি জানান।
শরীফুল জানান, তিনি নামাজ পড়ে পাশের মসজিদ থেকে বের হলে প্রতিবেশী সালামের স্ত্রী মমতাসহ এক হকার এক ব্যক্তিকে কুকুর আক্রমণ করেছে জানালে তিনিসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইজাজুলের ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি তাদের এলাকায় কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব কুকুর ইতোমধ্যেই ২০-২৫ জনকে কামড়ে আহত করেছে।
খবর পেয়ে ইজাজুলের ভাবী নাজমুন্নাহার নাজমা এবং ভাতিজা হামিমসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসেন। পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করার অনুমতি নিয়ে ইজাজুলের মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে নিয়ে রওনা হন।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে অন্য একজন ফোনটি রিসিভ করেন। তিনি জানান, ওসি একটি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছেন।