শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে নিজ ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আগে সকাল ৮.০০ টার দিকে বাড়ির লোকজন তার মৃত্যুর বিষয়টি টের পায়।
ঘটনার পর থেকে মৃত গৃহবধূর স্বামী, শ্বাশুড়ী সহ বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। মৃত সানজিদা ময়মনসিংহ সদরের ৩৩ নং ওয়ার্ডের শম্ভূগঞ্জ মোড়ের খোরশেদ আলম এর মেয়ে। গত দেড় বছর আগে কামারিয়া ইউনিয়ন এর চর কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত নুরুল আমিন এর ছেলে শাহ আলম (২৫)এর সাথে বিয়ে হয় সানজিদার। দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে এই দম্পতির সিনথিয়া নুর সাউদা নামে আড়াই মাসের একটি কণ্যা সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নিজ ঘরের ধর্ণার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশকে সংবাদ দেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত গৃহবধূর বাবা খোরশেদ আলম জানান, দেড় বছর আগে চর কৃষ্ণপুরের শাহ আলম এর সঙ্গে মেয়েকে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে প্রায়ই স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়ে কে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের জন্য তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে আসছিলাম মেয়েও সব সহ্য করে সংসার করছিলেন। কিন্তু সুখ তার কপালে নেই বিধায় এমন মৃত্যু।
তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াজেদ আলী ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে জানান, নিজ ঘরে আড়ার সঙ্গে কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূ সানজিদা কে উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। মনাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে মামলা নথিভুক্ত হবে বলে ও জানান ওসি।