ব্যবহার হচ্ছে ফাইজারের করোনা টিকায় ব্যবহৃত এমআরএনএ প্রযুক্তিআসন্ন ক্যান্সার ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য রোগীদের বাছাই করেছে ইউনাইটেড কিংডমের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস। এই প্রযুক্তি ক্যানসারের কোষগুলিকে ধ্বংস করতে সাহায্য করবে বলে আশাবাদী গবেষকরা। ব্যবহার হচ্ছে ফাইজারের করোনা টিকায় ব্যবহৃত একই এমআরএনএ প্রযুক্তি।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, রোগীদের মধ্যে যারা মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হবেন তারাই শুধুমাত্র এই ট্রায়ালে অংশ নিতে পারবেন। রোগীদের রক্তের ও টিস্যুর নমুনা নিয়ে। প্রতিটি জ্যাবকে মানুষের ডিএনএ-তে কাস্টমাইজড করার জন্য অত্যাধুনিক এমআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করবে চিকিৎসকরা।
এমআরএনএ শরীরকে লড়াই করার জন্য বিশেষ ধরনের ভাইরাল প্রোটিন তৈরির নির্দেশ দেয়, যা কোভিডের মতো রোগের জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার অ্যান্টিজেন উৎপাদন করতে সাহায্য করে। একই ভাবে এমআরএনএ প্রযুক্তি ক্যানসার কোষ খুঁজে বার করতে এবং ধ্বংস করার জন্য শরীরের প্রতিরোধতন্ত্রকে নির্দেশ দেবে, এমনটাই মনে করছেন গবেষকেরা।
এনএইচএস জানিয়েছে, ভ্যাকসিন লঞ্চ প্যাড নামে পরিচিত এই প্রোগ্রামে ইতিমধ্যে কয়েক ডজন লোকের তালিকা করা হয়েছে। এছাড়াও যুক্তরাজ্য ও এর আশে পাশের কয়েক হাজার রোগীকে ট্রায়াল টিকা দেওয়ার জন্য ৩০ টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
টিকা দেওয়ার জন্য আপাতত সংস্থাটি মূত্রাশয়, কোলোরেক্টাল, কিডনি, ফুসফুস, ত্বক এবং অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের রোগীদের সন্ধান করছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের প্রধান আমান্ডা প্রিচার্ড বলেন, যেহেতু এই ট্রায়ালগুলির বেশির ভাগই সারাদেশের হাসপাতালগুলিতে চলছে, আমাদের জাতীয় ম্যাচমেকিং পরিষেবা নিশ্চিত করবে যতটা সম্ভব যোগ্য রোগী যেনো এই টিকার আওতায় আসে।
শিকাগোতে আমেরিকান সোসাইটি অফ ক্লিনিক্যাল অনকোলজি সম্মেলনের আগে জানানো হয়, এনএইচএস প্রোগ্রামটি জার্মান ভ্যাকসিন নির্মাতা বায়োএনটেকের সঙ্গে এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া শুরু করবে।