জাফলংয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিকের মৃত্যু এমন সংবাদে ভরপুর মিডিয়া। ৮ জুলাই ভোরে নয়াবস্তি গ্রামের পাশের নদীতে কথা কাটাকাটি জের ধরে প্রতিপক্ষের ঘুষিতে আব্দুর নূর নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
জাফলংয়ে আব্দুন নুর লাইনম্যান না শ্রমিক ?
প্রশ্ন হচ্ছে নিহত আব্দুর নূর বালু শ্রমিকের কাজ করতেন না কি তিনি লাইনম্যান জামাই সুমন, আলীম উদ্দিন সমদ ও বিশ্বনাথী ফয়জুলের হয়ে চাঁদা কানেকশনের কাজ করতেন। নাকি তিনি নিজেই শ্রমিকের কাজ করতেন তা স্পষ্ট করে বলছেনা কেউ । সকলেই একটি বিষয় আড়াল করার চেষ্টা করছে। নিহত নুর জাফলং ইউনিয়নের নয়াবস্তি গ্রামের করিম হোসেনের ছেলে। পুলিশ এ ঘটনায় হোসেন মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে। আটক হোসেন মিয়া বালু শ্রমিক। তিনি মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর গ্রামের রুস্তম খা’র ছেলে। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি ঘটনার আসল বিষয়টি আড়াল করলে জাফলং এলাকার বাতাসে উড়ছে ভিন্ন খবর। প্রতিদিনের ন্যায় জাফলং নদীতে অবৈধ ভাবে নৌকা নিয়ে বালু উত্তোলনের কাজ শুরু হয়। আব্দুন নুর হোসেনের কাছে লাইনের টাকা চাইলে দুজনের মাঝে কথাকাঠি শুরু হয়। তখন আব্দুন নুর প্রথম আঘাত করেন হোসেনকে। হোসেন আব্দুন নুরের আঘাত ফেরাতে হাতে থাকা বাঁশ দিয়ে আব্দুন নুরকে আঘাত করতে গেলে আব্দুন নুর লাফ দিয়ে নদীর পানিতে পড়ে যান। তখন নদীতে কয়েকশত নৌকার সারি থাকায় আব্দুন নুর আর নদী থেকে পাড়ে উঠতে পারেননি। পরে স্থানীয়রা প্রায় ৪০ মিনিট খোঁজাখুঁজি করে নদী থেকে আব্দুর নূরকে উদ্ধার করে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এ ঘটনায় লাইনের লোকজন এসে হোসেন মিয়াকে আটক করে পুলিশ দেয়। যদি স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন কী বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে মারামারি হয়েছে, তা এখনো সঠিক ভাবে জানেন না কেউ-ই। জাফলং নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন সম্পন্ন অবৈধ কিন্তু থানার ওসি আর জাফলং বিট অফিসার রফিককে ম্যানেজ করে দিনরাত বিরামহীন ভাবে চলছে বালু-পাথর উত্তোলন। আর সেখান থেকে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা আদায় করা হচ্ছে পুলিশের লাইনের চাঁদা হিসাবে। চাঁদা আদায়ে নেতৃত্ব দেন আলোচিত ইমরান হোসেন সুমন উরফে জামাই সুমন, আলীম উদ্দিন, শ্রমিক নেতা সমেদ, বিশ্বনাথী ফয়জুল। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম। চলছে লাইনম্যানদের রক্ষা করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।