কক্সবাজার শহরের বাদশাঘোনা এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে টিনশেডের দুটি ঘর। একটি ঘরের ওপর পাহাড় ধসে পড়লে ঘুমন্ত স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। আরেকটি ঘরে থাকতেন নিহত আনোয়ার হোসেনের মা মমতাজ বেগম।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০টায় ঘরের দরজায় বসেছিলেন মমতাজ বেগম। একমাত্র ছেলে আনোয়ার ও বউ মাইমুনাকে হারিয়ে এখন তিনি নির্বাক। চোখের পানিও শুকিয়ে গেছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মমতাজ বেগম বলেন, আমার ছেলে বাদশাঘোনা ওমর ফারুক (রা.) জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ছিলেন। রাতে যখন ভারি বৃষ্টি হচ্ছিল, আমার ঘরে আসার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু সে সমস্যা হবে না বলে ঘুমাতে চলে যায়। আমি কী জানতাম, ছেলের এ ঘুমই জীবনের শেষ ঘুম হবে। এভাবে বলতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মমতাজ বেগম।
নিহত আনোয়ারের স্বজনরা বলেন, প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আনোয়ার। পাশেই ৫ মাসের গর্ভবতী স্ত্রী মাইমুনা আক্তার ঘুমিয়েছিলেন। পারিবারিকভাবে ৯ মাস আগে মাইমুনাকে বিয়ে করেন আনোয়ার। কে জানতো তারা পাহাড় ধসে মারা যাবে।