বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গাজীপুরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকি, প্রতিবাদে ময়মনসিংহে উত্তাল মানববন্ধন ময়মনসিংহ মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিশিষ্টজনদের সাথে ইফতার মাহফিল জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপির সঙ্গে কেউ টেক্কা দিতে পারে না, দৈনিক বিক্রি লাখ-টাকার উপরে এই জিলাপি মোহনগঞ্জ থানা ঘেরাও রাব্বী হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতারের দাবী মানবিক পোস্ট:-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে একটা কিশোরীর পাশে দাঁড়াতে আবেদন ময়মনসিংহে ভোক্তার অভিযানে গোমাংস বিনষ্ট করে দশ হাজার টাকা জরিমানার অন্তরালে রহস্য ময়মনসিংহের পরানগঞ্জে ভিডব্লিউবি উপকারভোগীর মাঝে সঞ্চয়ের টাকা বিতরণ ময়মনসিংহ এলজিইডি প্রকৌশলী মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ যুবককে বাজার থেকে ডেকে নিয়ে ছুরি দিয়ে হত্যা মোহনগঞ্জে জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‌্যালি

জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপির সঙ্গে কেউ টেক্কা দিতে পারে না, দৈনিক বিক্রি লাখ-টাকার উপরে এই জিলাপি

মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, ময়মনসিংহ
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৭ টাইম ভিউ :
জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপির সঙ্গে কেউ টেক্কা দিতে পারে না, দৈনিক বিক্রি লাখ-টাকার উপরে এই জিলাপি
জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপির সঙ্গে কেউ টেক্কা দিতে পারে না, দৈনিক বিক্রি লাখ-টাকার উপরে এই জিলাপি

ময়মনসিংহে জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপি কিনতে মানুষের ভিড়, পবিত্র রমজানে ময়মনসিংহের ভোজন প্রিয়দের কাছে ইফতার আইটেমের অন্যতম উপকরণ নগরীর জিলা স্কুল মোড় এলাকার জাকিরের টক-মিষ্টি জিলাপি। দিন দিন এই জিলাপির জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকায় চলতি রমজানে দৈনিক এক থেকে দেড় লাখ টাকার জিলাপি বিক্রি হয় এই দোকানে।

সম্প্রতি নগরীর জিলা স্কুল মোড়ের জাকির হোসেনের ‘মেহেরবান’ হোটেলে গিয়ে দেখা যায়, টক-মিষ্টি জিলাপি কিনতে মানুষের ভিড় জমেছে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তারা এই জিলাপির স্বাদ নিতে এসেছেন। অথচ তখন অন্যান্য ইফতারের দোকানগুলো মাত্র সাজিয়ে বসতে শুরু করেছে।

জানা যায়, জাকির হোসেন জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের তেলিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট জাকিরের স্কুলের বারান্দায় হাঁটার সৌভাগ্য হয়নি। অভাবের তাড়নায় ১৯৭৩ সালে শহরে এসে মইনুল হোসেনের চায়ের দোকানে কাজ নেন। এর এক বছর পর নগরীর জিলা স্কুল মোড়ের হোটেল মেহেরবানে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তখন এই দোকানটির মালিক ছিলেন নগরীর বাসিন্দা মইনুল হোসেন। ১৯৯৩ সালের দিকে তিনি হোটেল চালাতে না পেরে জাকির হোসেনকে দায়িত্ব দেন। এর পরের বছর টক-মিষ্টি জিলাপি তৈরি করেন জাকির।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সময়ের ব্যবধানে শহরজুড়ে বহু জিলাপির দোকান গড়ে উঠেছে। রমজান এলে বিভিন্ন জমকালো রেস্তোরাঁসহ অলিগলিতে ইফতারসামগ্রী বিক্রি করা হয়। কিন্তু সেটি জাকির হোসেনের তৈরি টক-মিষ্টি জিলাপির সঙ্গে কেউ টেক্কা দিতে পারে না। ফলে এখনো দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ঐতিহ্যের এই জিলাপি।

জিলাপি কিনতে আসা মাহফুজ বলেন, ২০ থেকে ২৫ বছর যাবত এই জিলাপি কিনে খাচ্ছি। অন্য সব জিলাপি থেকে এ জিলাপির স্বাদ আলাদা। জিলাপি চিবোতে শুরু করলেই পাওয়া যায় মচমচে, রসালো, টক-মিষ্টি একটা স্বাদ। যা খুবই ভালো লাগে। ফলে রমজান এলে এই দোকান থেকে জিলাপি নিয়ে যাই। পরিবারের সবাই একসঙ্গে ইফতারে মজা করে খাওয়া হয়।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর


All rights © 2024 ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Esaitbd Soft Lab- UAE/BD