হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেস-মেকার বসানোর কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই খালেদা জিয়ার।
আজ রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যে তথ্য পেয়েছি, আমি যতটুকু জানি, আজকে কিছুক্ষণ আগে থেকে ওনার (খালেদা জিয়া) বোধহয় একটা পেস-মেকার বসানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেটা হার্টের অসুখ। কিডনির ব্যাপারে আমি এখনও কিছু জানিনা।’
সরকারের পক্ষ থেকে খালেদার চিকিৎসার বিষয় মানবিক দিক থেকেই দেখা হচ্ছে জানিয়েছে মন্ত্রী বলেন, ‘মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন বলেই ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাঁর সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত তিনি তাঁর ইচ্ছামতো চিকিৎসা নিয়েছেন। বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনেও চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। আমার মনে হয় মানবিক দিক থেকেই আমরা এটাকে দেখেছি।’
বিএনপি খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে চাচ্ছে। এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত তাঁদের (বিএনপি) কাছ থেকে কোনো কথা আসেনি। আমি সে সম্বন্ধে কোনো উত্তর দিব না। যে আইনি ব্যবস্থায় তাঁর সাজা স্থগিত রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই আইন মোতাবেক তাঁর বিদেশ যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
যদিও খালেদার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফ্যাসিস্ট সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়া কারাগারে। রাজনীতি থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে তাঁকে। অভিযোগ করলেও সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি তাঁর।
শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, রাত দেড়টার দিকে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেগম খালেদা জিয়া। শরীরে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করা হবে।