কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৩৩ হাজার টাকার জাল নোটসহ পিতা-পুত্রকে আটক করেছে পুলিশ। ওই পিতা-পুত্র জাল টাকার নোট দিয়ে গরু ক্রয় করেছিলেন। আটকের ঘটনাটি ঘটেছে, পৌর শহরের গরুর হাট এলাকায়। আটক ব্যক্তিদের মঙ্গলবার (৪ জুন) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। উলিপুর থানার ওসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হারুনেফড়া এলাকার মুকুল মিয়া (৩৫) পেশায় একজন রিক্সা চালক। তিনি রিক্সা চালানোর পাশাপাশি গবাদিপশু পালন করতেন। গত ৩১ মে তিনি উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের হাটে যান বকনা গরু বিক্রি করতে। এ সময় রফিকুল ইসলাম (২৪) নামে এক যুবক ক্রেতা সেজে ২-৩ জনকে সঙ্গে নিয়ে বকনা গরুটি ৩৭ হাজার টাকায় ক্রয় করেন। পরে গরু বিক্রির টাকা বুঝে পেয়ে মুকুল মিয়া বাড়িতে চলে যান। এরপর গত ২ জুন গরু বিক্রির টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা এনজিও’র ঋণের কিস্তি দেয়ার সময় মাঠকর্মী টাকা গুলো জালনোট বলে জানান। এ সময় মুকুল মিয়া ক্ষোভে ওই ৪ হাজার টাকা ছিড়ে ফেলেন। পরে তিনি গরু বিক্রির বাকী টাকা গুলোও এনজিও কর্মীকে দেখালে তিনি বলেন সব টাকাই জাল।
এরপর থেকে মুকুল মিয়া উপজেলার বিভিন্ন গরুর হাটে ওই ব্যক্তিকে খুঁজতে থাকেন। ৩ জুন বিকালে উলিপুর পৌর শহরের গরুরহাটে জাল নোট দিয়ে গরু ক্রয়কারী রফিকুল ইসলাম চিনতে পেরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে আটক করেন। এ সময় তার সাথে থাকা অপর এক ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যান। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছেলে আটকব্যক্তি সকলের উপস্থিতিতে স্বীকার করেন জাল ৩৭ হাজার টাকা দিয়ে তিনি বকনা গরু ক্রয় করেছেন। এছাড়া পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তি তার পিতা। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মুকুল মিয়া সোমবার (৩ জুন) রাতে রফিকুল ইসলাম (২৪) ও তার পিতা আলিম উদ্দিনের (৫০) নামে থানায় মামলা করেন। এরপর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন। আলিম উদ্দিন উপজেলার ধরনীবাড়ী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা জানান, জাল টাকাসহ আটক পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (ক) ধারায় মামলা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।