বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাচনে কালো টাকার কাছে পরাজিত হওয়ার দাবী উল্লেখ করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। পারাজিত দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন, ধুনট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি টি,আই এম নুরুন্নবী তারিক ও একই কমিটির সহ সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হাই খোকন।
রবিবার (১০ই জুন) দুপুরে ধুনট পৌর আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে টি,আই,এম নুরুন্নবী তারিক বলেন, গত (৫ই জুন) বুধবার ধুনটে উপজেলা পরিষদের অনুষ্ঠিত নির্বাচনের তপশীল ঘোষনার পর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রাথী (শেরপুর – ধুনট ) নির্বাচন এলাকার সাবেক এমপির ছেলে কালো টাকার মালিক আসিফ ইকবাল সনি নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করতে প্রকাশ্যে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণ করে ভোট কিনেছেন। ধুনট উপজেলার ৫৬০ মসজিদের প্রতিটি মসজিদ কমিটির সভাপতি সহ সংশ্লিষ্টদের ৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যস্ত নির্বাচনী ঘুষ প্রদান করে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের ভোট কিনেছেন। গত ১৫ মে কালেরপাড়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে খেলার মাঠে উত্তর পাশে একটি নলকুপ স্থাপন করেছে। গত ২৩ই মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় গোপালনগর ইউনিয়নের খাটিয়ামারি বাজারে আমার ঘোড়া কার্মার নির্বাচনী অফিস আসিফ ইকবাল সনির ১০/১৫ জন কর্মী অবৈধ ভাবে দখল করে। এরপর আমার কর্মীদের মারধর করে অফিস থেকে বের করে দিয়ে সনির সন্ত্রাসীরা ঘোড়া মার্কার পোষ্টার ছিড়ে ফেলে দিয়ে আনারস মার্কার পোষ্টার লাগায়। এসব বিষয়ে রিটানিং অফিসার সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাই নি। ভোটের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ আতি উৎসাহী হয়ে আমার কর্মী ও এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখিয়েছে আতঙ্ক সৃষ্টি করে আনারস মার্কার বিজয় নিশ্চিত করেছে। মোটর সাইকেল প্রতিকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন বলেন, আসিফ ইকবাল সনি বেড়েরবাড়ি গ্রামে কতিপয় ব্যক্তির সহযোগীতায় বাইচের নৌকা তৈরী করার জন্য দুই লাখ টাকা দিয়ে ওই গ্রামের ভোট কিনেছেন। এছাড়া তিনি গোশাইবাড়ি ইউনিয়ের জোড়খালি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি হিসাবে ছাত্রদের পায়জামা পাঞ্জবী ও ছাত্রীদের বোরকা কেনার টাকা দিয়ে ভোট নিয়েছেন। একই ইউনিয়নের বগা খোশাবাড়ি কবর স্থান ও ঈদগাহ মাঠে উন্নয়ন করার জন্য দুই লাখ টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন। এছাড়া চিকাশী, নিমগাছি, এলাঙ্গী ও কালেরপাড়া সহ প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামের গ্রামের পুরুষ মহিলাদের শাড়ি, লুঙ্গি ও নগত টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন। এসবের অনেক প্রমান তার কাছে আছে বলে তিনি দাবী করেছেন। তিনি আরোও বলেন, জনসমর্থন হীন আসিফ ইকবাল সনি নির্বাচনে জয়লাভ করতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ভোট কিনে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি ধুনটের সর্বস্তরের মানুষকে বিশেষ ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে মোটা অংকের ঘুষ প্রদান করায় প্রশাসন নির্বাচনী মাঠে আসিফ আসিফ ইকবাল সনির পক্ষ অবলম্বন করেছেন। নির্বাচনী মাঠে পুলিশ ঘোড়া প্রতিক ও মোটর সাইকেল মার্কার কর্মীদের মধ্যে ভীতি ও আতঙ্কের সৃষ্টি করে আমাদেরকে পরিকল্পিত ভাবে পরাজিত করা হয়েছে। পারজিত এই চেয়ারম্যান প্রার্থী কালো টাকার প্রভাবিত নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুন নির্বাচনের দাবী করে তারা বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। এ বিষয়ে ধুনট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার আশিক খান বলেন, আমার কাছে যতগুলো অভিযোগ দেওয়া হয়েছে কিছু অভিযোগ তদন্ত করেছি। কিন্ত কালো টাকা কোন প্রমান পাই নি। বেশীর ভাগ অভিযোগ রিটানিং অফিসারের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোঃ সৈকত হাসান বলেন, নির্বাচনে পুলিশ নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করে শাস্তিপুর্ন পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়েছে।