কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম এবং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এতিমখানার নামে বরাদ্দ ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা ছাড় পেতে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবির বিষয়ে ইত্তেফাক ডিজিটালসহ একাধিক গণমাধ্যমে তথ্যবহুল সংবাদ প্রচারের পর ২৯ এপ্রিল তাদের বরখাস্ত করা হয়।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের যুগ্মসচিব (পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ মো. নুরুল বাসির এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ২৮ এপ্রিল দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম ইত্তেফাক ডিজিটালে ‘এতিমখানার অনুদান থেকে সমাজসেবা কর্মকর্তার ঘুষের ভিডিও ভাইরাল’ শিরোনামে প্রচার পাওয়া সংবাদটি দ্রুত ভাইরাল হয়। এরপর মামতাজ বেগম এবং আমজাদ হোসনের ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠে। যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নজরে এলে, শৃংখলা রক্ষায় অভিযুক্তদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
জানা গেছে, কক্সবাজারের চকরিয়া হারবাং মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার অনুদানের ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা পেতে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মো. আমজাদ হোসেন ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মমতাজ বেগম এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে। প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলনের পর মমতাজ বেগমকে নগদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। যার ভিডিও চিত্রসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচারের পর ভাইরাল হয়ে পড়লে সমালোচনার মুখে দুর্নীতিগ্রস্ত দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা বই নিতে গেলেও প্রতিজন উপকারভোগীর কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ঘুষ আদায় করতেন আমজাদ হোসেন ও মমতাজ বেগম।