সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় লিচু ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার হত্যা মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানিয়েছে, তাঁরা লিচু আত্মসাৎ করতে দুজন লিচু ব্যবসায়ীকে ট্রাক থেকে ফেলে দেন।
নিহত লিচু ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার (৬৫) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
শুক্রবার সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাব-১২’র অধিনায়ক মোঃ মারুফ হোসেন এক বিফ্রিং এর মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন,গত ৬ জুন রাত্রি ২.৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২’র সদর কোম্পানির আভিযানিক দল র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় “সিরাজগঞ্জ জেলার বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানাধীন গোলচত্ত্বর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নাটোর সদর থানার সাতুরিয়া গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান (২৮), গাজীপুর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে আজিজুল হক (৪৮),কাঠাল বাড়িয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া’র ছেলে মোজাম্মেল হক (৪৫),বড় বাড়িয়া গ্রামের সামছু মিয়া’র ছেলে মতিউর রহমান (৪৩), ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার বিটিবাড়ী গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে উজ্জল হোসেন (৩৪) ও টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার কুটিবাড়ী চাঁনপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে সুজন মিয়া (২৯), কে আটক করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, ভিকটিম হেলাল শেখ একজন লিচু ব্যবসায়ী। গত ৩ জুন পাবনা জেলার দাশুড়িয়া এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে লিচু ক্রয় করে অজ্ঞাতনামা আরেকজন লিচু ব্যবসায়ীর সাথে একটি ট্রাকযোগে সিরাজগঞ্জের দিকে আসছিলেন। ট্রাকে তারা দুইজন ছাড়াও আরও ৬/৭ জন ব্যক্তি ছিল এবং তারা নিজেদেরকে গরু ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দেয়। পরবর্তীতে রাত্রি আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর জেলার কাঁচিকাটা টোলপ্লাজা পার হওয়ার পর উক্ত ব্যক্তিগন খুন ও লিচু আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে এলোপাতারিভাবে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে রাত্রি আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে উল্লাপাড়া থানার বোয়ালিয়া এলাকায় আহত ভিকটিম ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। ভিকটিমের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে দুইজনকে উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে অজ্ঞাতনামা লিচু ব্যবসায়ীকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামিগণকে উল্লাপাড়া থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।