স্টাফ রিপোর্টার :
খুলনা থেকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে উপকূল অতিক্রম শুরু করে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দুইজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। সোমবার সারাদিনে ঘূর্ণিঝড়ের শেষ অংশটুকু সাগর থেকে উপকূলে উঠে যেতে পারে। রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর থেকেই তীব্র হাওয়ার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে জোয়ারের পানি উঠতে শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ স্থলভাগে উঠার সময় উপকূলীয় এলাকা ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমুহে আট থেকে ১২ ফুট উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাস হয়েছে। কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসও হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতির কথা সংবাদদাতা জানিয়েছেন। তবে ঝড়ের প্রভাব শেষ হলে ক্ষয়ক্ষতির সম্পুর্ণ চিত্র ফুটে উঠবে। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত জারি করে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড়টি যখন সাগর থেকে উপকূলে উঠার আগ পর্যন্ত খুলনা এলাকার নদীগুলোতে জোয়ার থাকায় কারণেও রেমালের গতি আরো কিছুটা বেড়েছিল বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খুলনার কয়রা ও দাকোপ উপজেলার বেশ কয়েকটা বেড়িবাঁধ ভেঙে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হতে দেখা গেছে। এছাড়া মোংলার নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে এবং প্রাণ হানি হয়েছে বলে জানা যায়।