২৪ দলের অংশগ্রহণে ১৭তম ইউরো চলবে ১৪ জুলাই পর্যন্ত। ২৬ জুন শেষ হবে গ্রুপপর্বের খেলা, ২৯ জুন থেকে শুরু হবে রাউন্ড অব সিক্সটিন। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো মাঠে গড়াবে ৫ জুলাই থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে। ২টি সেমিফাইনাল ৯ ও ১০ জুলাই। ফাইনাল ১৪ জুলাই।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালানো রাশিয়া ইউরো থেকে থেকে বহিষ্কৃত। ২০০০ সালের পর এই প্রথম ইউরোতে নেই তারা। অন্যদিকে ৬৬ বছরের ইতিহাসে জর্জিয়া কখনও ইউরো খেলতে পারেনি (১৯৬০ থেকে ১৯৯২ সালের আসর পর্যন্ত তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল)। এবারই প্রথম ইউরো খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা। ককেশাশ অঞ্চলের দেশটি প্লেঅফে গ্রিসকে হারিয়ে ইউরোর টিকিট ভাগিয়ে নিয়েছে। অন্য ২৩টি দল হলো- জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্কটল্যান্ড, স্পেন, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, ইংল্যান্ড, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, আলবেনিয়া, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস, রোমানিয়া, সুইজারল্যান্ড, সার্বিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ইতালি, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ইউক্রেন ও পোল্যান্ড।
চ্যাম্পিয়ন খুঁজে পেতে ২৪টি দলকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রতিটি গ্রুপে আছে ৪টি করে দল। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সরাসরি ২টি করে দল যাবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে, তৃতীয় স্থানে থাকা দলেরও নকআউটে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৬ গ্রুপের তৃতীয় স্থানে থাকা ৬টি দলের মধ্যে শীর্ষ চার ধরে রাখতে হবে। সেরা চার নির্ধারণে পর্যায়ক্রমে বিবেচনায় আসবে পয়েন্ট, গোল ব্যবধান, গোল, কম শৃঙ্খলা-বহির্ভূত পয়েন্ট ও ইউরোপিয়ান কোয়ালিফায়ার র্যাঙ্কিং।
জার্মানির ১০টি শহরের ১০টি ভেন্যুতে হবে এবারের ইউরো। এই ১০টি ভেন্যুর ৯টিই (বার্লিনের অলিম্পিয়াস্টেডিয়ন, মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা, ডর্টমুন্ডের ওয়েস্টফেলেনস্টেডিয়ন, স্টুটগার্টের এমএইচপি অ্যারেনা, গেলসেনকিরচেনের অফ-শালকে, ফ্রাঙ্কফুর্টের ওয়ালস্টেডিয়ন, হামবুর্গের ভল্কসপার্কস্টেডিয়ন, কলোনের এনার্জি স্টেডিয়ন ও লেইপজিগের রেড বুল অ্যারেনা) ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়েছিল, শুধু ডুসেলডর্ফের মার্কুর স্পিয়েল অ্যারেনা ২০০৬ বিশ্বকাপে ব্যবহৃত হয়নি, তবে এটিতে ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ ও ১৯৮৮ ইউরোর ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
শিরোপা জয়ের হিসাবে যৌথভাবে ইউরোর সবচেয়ে সফল দল জার্মানি ও স্পেন। দুদলই ৩ বার করে ইউরোর মুকুট মাথায় পরেছে। এককভাবে দ্বিতীয় বারের মতো ইউরো আয়োজন করতে যাওয়া জার্মানি ফাইনাল (৬ বার) খেলার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে। স্পেন, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইতালি ও রাশিয়া ৪ বার করে ফাইনাল খেলেছে।
ইউরোয় খেলা সবচেয়ে বড় তারকা বোধহয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগালের ফুটবলের বড়পুত্রের সঙ্গে জড়িয়ে আছে একাধিক রেকর্ড। পাঁচটি ইউরো খেলার দ্বারপ্রান্তে থাকা রোনালদো মূলপর্বে সর্বোচ্চ গোলের (১৪) মালিক, বাছাইপর্বেও তার গোল (৪১) সবচেয়ে বেশি। এমনকি মূলপর্ব ও বাছাই মিলিয়েও রোনালদো সবার উপরে। প্রত্যেকটি টুর্নামেন্টেই তার গোল করার কীর্তি আছে। ২০০৪ সালে নিজের প্রথম ইউরোতে রোনালদো করেছিলেন ২ গোল, ২০০৮ সালে ১টি, ২০১২ সালে ৩টি। ২০১৬ সালে রোনালদোর দল যখন ইউরো জিতে, সেবার তিনি করেন ৩ গোল। সবশেষ আসরে তার গোল ৫টি।