কক্সবাজারের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয়া পাড়াস্থ তিন ঘরিয়া পাড়া এলাকায়
২০লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় গভীর রাতে অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনে সন্ত্রাসী কায়দায় হামজালাল মেম্বারের নিজস্ব খতিয়ানভূক্ত ক্রয়কৃত মালিকানাধীন সম্পত্তি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা ও নির্মাণ কাজের মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার ১০ডিসেম্বর দিবাবাগত রাতে টেকনাফ সদরের মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন মহেশখালিয়া পাড়াস্থ তিনঘরিয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তরা হলেন,টেকনাফ সদরের পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়া এলাকার প্রকাশ তিনগুইজ্জা পাড়ার ৫নং ওয়ার্ডের তজিল আহমদ,
নবী হোসেন,সৈয়দ হোসেন,আলী হোসেন,
শরীফ হোসেন,মো.ইসমাইল এর পুত্র মো.আবদুল্লাহ,
আহমদ কবির,মো.রফিক,মমতাজ মিয়া,কামাল হোসেন,মো.শফিক।
জমির মালিক ভুক্তভোগী সাবেক ইউপি সদস্য হামজালাল মেম্বার জানান,টেকনাফ মৌজার বি এস ১,৩০৫ নং খতিয়ানের ২৬.২৯ শতক জমি বিগত ২০১০ সালে খরিদ করি এবং তখন থেকে ভোগ দখল করে আসছি।
জমির চতুর্দিকে বাউন্ডারিসহ প্রায় ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে বাড়ি নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এখানে আমার প্রায় ৭লক্ষ টাকার মালামাল রড়,সিমেন্ট,বালি ও কঙ্কর ইত্যাদি মওজুদ ছিলো।এমতাবস্থায় উল্লেখিত অভিযুক্তরা রাতের আঁধারে দলবল বেঁধে অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং যাওয়ার সময় আমার বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে দেয়।
ভুক্তভোগী আরও জানান,এই বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ এর কাছে বিচারাধীন রয়েছে এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আলমও অবগত আছেন। আমি বারবার উভয় পক্ষের কাগজপত্র নিয়ে বসে সমাধানের কথা বললেও তাঁরা সমাধানের পথে না গিয়ে উল্টো ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমার নির্মিত দেয়াল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে নির্মাণ কাজের মালমাল গুলো সন্ত্রাসী কায়দায় লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী হামজালাল মেম্বার আরও জানান,
উল্লেখিত ব্যক্তিদের একটি সঙ্গবদ্ধ ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট রয়েছে। তাঁদের রয়েছে অবৈধ অস্ত্র।
তাঁরা মাদক ও মিয়ানমারে মালামাল পাচার এবং মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
কিছুদিন আগেও এই সন্ত্রাসীরা জমির বিষয়ে আমার কাছে ২০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছিলো। আমি চাঁদা না দেওয়ায় মূলত তাঁরা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে।
আমি বিষয়টি টেকনাফ মডেল থানায় অবগত করলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রীরা পালিয়ে যায়।
বর্তমানে আমি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি,
যেকোনো মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা করতে পারে। আমি এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় অভিযোগসহ আদালতে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিষয়টি আমি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকল গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে জমিতে সাইনবোর্ড দেওয়া অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।