রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে ইং ০৮/০২/২০২৫ তারিখ গত ২৪ ঘন্টায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করিয়া মোট ০৬ জন আসামী গ্রেফতার করা হয়। বাকৃবিতে কৃষিকন্যা হল উদ্বোধন। ময়মনসিংহের সাংবাদিকদের দাবী আগামী সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়নের আহবান – সংস্কার কমিটি ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে ইং ০৪/০২/২০২৫ তারিখ গত ২৪ ঘন্টায় দুর্নীতির আতুর ঘর তারাকান্দা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, অবশেষে সাব রেজিস্ট্রার বদলি র‍্যাব -১৪, সিপিএসসি ময়মনসিংহ‘র বিশেষ অভিযানে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানা এলাকা হতে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভারতীয় কম্বল‘সহ ০১(এক) টি কাভার্ড ভ্যান জব্দ। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে ইং ০১/০২/২০২৫ তারিখ গ্রেফতার ০৫ জন। বাতি জ্বালিয়েও ফ্যাসিস্ট আ.লীগকে পাওয়া যাচ্ছে না, তারা এখন হাসির খোরাক : ওয়াহাব আকন্দ ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অভিযানে ইং ৩০/০১/২০২৫ তারিখ গ্রেফতার ০৭ জন। জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর অভিযানে ১৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ০৪ জন।

২৩ বছর পর জেল থেকে বেরিয়ে দেখেন পরিবারের কেউই বেঁচে নেই !

রিপোর্টারের নাম :
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৩৩৯ টাইম ভিউ :
শিশু ধর্ষণের এক মামলায় রেখা খাতুন (৪৪) গ্রেফতার হন ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর। ধর্ষণে জড়িত দুই আসামিকে সহযোগিতা করার অপরাধে তাকে মামলার ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছিল। ২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
২৩ বছর সাজা ভোগের পর রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার এক লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাকে আরও তিন বছর কারাগারে আটক থাকতে হতো। সেই হিসাবে তাকে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকতে হতো।
বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির জন্য এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তারা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এর ফলে ঈদের দুই দিন আগে ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
বের হয়ে জানতে পারেন বাবা, মা, দুই বোন, এক ভাইয়ের কেউই আর বেঁচে নেই। শুধু তাই নয়, স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে নিরুদ্দেশ, বাবার ভিটেমাটিও বিলীন হয়েছে ধরলা নদীর গর্ভে।
রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি ছিল লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট গ্রামে।
লালমনিরহাট জেলা কারাগারের জেল সুপার ওমর ফারুক জানান, রেখা খাতুন (৪৪) একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি ২৩ বছর ৪মাস ৫দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। একটি ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতা করার অপরাধে তিনি ২৩ বছর আগে গ্রেফতার হয়ে লালমনিরহাট জেলা কারাগারে যান। এরপর ওই মামলায় রেখা খাতুনসহ তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। তবে রেখা খাতুন জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় তার আরও তিন বছর কারাভোগ করতে হতো। তিনি মুক্তি পাবার আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করেছেন। কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন।
রেখার কারামুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র রেজাউল করিম, লালমনিরহাট জেলা কারাগারের বেসরকারি পরিদর্শক দলের অন্যতম সদস্য ও নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম, কারাবন্দী নারী কয়েদিদের হাতে-কলমে কাজের প্রশিক্ষক ও স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা ‘বকুল ফুল’র নির্বাহী পরিচালক রশিদা বেগম প্রমুখ।
নিজের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে রেখা জানান, দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তার স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর ছিলেন কোরবান। বিয়ের পরও দুই-তিন বছর বাবার বাড়িতে তারপর ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তার স্বামী কোরবান আলী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
তিনি আরও জানান, ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা যান। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই রেখা আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর


All rights © 2024 ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Esaitbd Soft Lab- UAE/BD